শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচেতন হলেই টাকা নিরাপদ

ডেস্ক নিউজ : সময়টা খুব বেশি দূরে নয়। যখন এ দেশের কোটি কোটি মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে ছিল। হঠাৎ করেই যাপিতজীবনে নতুন সেবা এলো। বলা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি উদ্যোগ ছিল যেন এ দেশের সব মানুষ ব্যাংকিং সেবার সুযোগ নিতে পারে। এটি বাস্তবায়ন করার জন্য তারা দেশের মোবাইল অপারেটরদের সেবাকে কাজে লাগায়। এর মাধ্যমে চালু হয় মোবাইল ব্যাংকিং। এখন দেশের কোটি কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছে। তা ছাড়া কম সময়ে লেনদেনের মাধ্যম এই মোবাইল ব্যাংকিং। দ্রুত টাকা পাঠানো ও পাওয়ার সুযোগও করে দিল এই ব্যাংকিং পদ্ধতি। তবে প্রযুক্তিনির্ভর এ মাধ্যমটির নিরাপত্তা দিন দিন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। আবার কিছু বিপরীত চিত্রও আছে। প্রতারকের ছড়ানো ফাঁদেও পড়েন গ্রাহকদের কেউ কেউ। তবে ডিজিটাল প্রতারণা রুখতে নানা উদ্যোগও চোখে পড়ে।

করোনাকালীন এই সময়ে প্রতিদিনের জরুরি লেনদেন স্বাভাবিক রাখতে মানুষের নির্ভরতার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা বিকাশের মতো সেবাগুলো। তবে অজ্ঞতা, ভয়, লোভের মতো কিছু অপকৌশল ব্যবহার করে গুটিকয়েক অসাধুচক্র গ্রাহকদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। অথচ সচেতন হলেই গ্রাহক তার মোবাইল অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং ঝুঁকিমুক্ত। প্রযুক্তিগতভাবে পিন নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা হয়। গ্রাহক পিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার না করলে তাঁর অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল আর্থিক সেবার মতো ডিজিটাল একটি সেবা ব্যবহারে কিছু ডিজিটাল সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা জরুরি। যেমন :

অ্যাকাউন্ট বন্ধের ভয় : আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে—বিভিন্ন সময় প্রতারক এমএফএস কর্মকর্তা সেজে এভাবে ভয় দেখিয়ে গ্রাহককে প্রতারণার জালে আটকান। আদতে এটি একটি ভুল তথ্য। এমন কোনো ফোন পেলে ঘাবড়ে না গিয়ে নিজে কাস্টমার কেয়ার সেবায় যোগাযোগ করতে হবে। পাসওয়ার্ড পাঠানো : যখন কোনো গ্রাহক নতুন করে অ্যাপে লগইন করতে চান তখন বিকাশ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওটিপি-ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়। ওটিপি পাঠানোর পদ্ধতিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে প্রতারক আপনার আস্থা অর্জন করতে চায়।

আপনার বিকাশ নম্বর দিয়ে প্রতারক অ্যাপে লগ-ইন করার চেষ্টা করলেও আপনার মোবাইলে ওটিপি আসে। এই সংখ্যাগুলোকে প্রতারক ভিন্ন নাম দিয়ে আপনার কাছ থেকে জানতে চায়। এগুলো কখনই শেয়ার করবেন না। এমনকি বিভিন্ন সংখ্যার সঙ্গে যোগ বিয়োগ করে ও নম্বরগুলো জেনে নিতে চেষ্টা করে। কখনই এই ফাঁদে পড়ে নম্বর শেয়ার করবেন না। ভুলে টাকা চলে গেছে : ভুল করে টাকা চলে গেছে ফেরত দিন এমন কথা বলেও আপনাকে প্রতারণায় ফেলতে পারে। কোনো টাকা ফেরত দেওয়ার আগে নিজের ব্যালান্স যাচাই করুন। মেসেজ দিয়ে প্রতারণা : আপনার সন্তান /আত্মীয়/আপনজন বিপদে পড়েছে টাকা পাঠান। ফোন করে বা সামাজিক মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাততে পারে। যত বিপদের কথাই বলুক টাকা পাঠানোর আগে নিজে ফোন করে তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

এই বিভাগের আরো খবর